Monday, June 2, 2014

বর্ষায় ত্বকের যত্ন



বর্ষায় ত্বকের যত্নঃ

বছরের ১২ মাসই ত্বক চুলের যত্ন নিতে হয় তবে বর্ষাকালে এটি বাধ্যতামূলক কারণ সময় বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে কারণে জন্ম নেয় ছত্রাক ফলাফল ত্বক চুলের নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া ঋতুতে ত্বক চুলের পরিচর্যার দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন হারমনি স্পার কর্ণধার রাহিমা সুলতানা

ত্বকঃ

ত্বকে ছত্রাক জন্মানোর কারণে ব্রণ হয়। ত্বক দেখতে মাঝেমধ্যে নিষ্প্রাণ লাগে। অনেকের অ্যালার্জির পরিমাণও বেড়ে যায়। কারণে যতটা সম্ভব ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। এতে দুটো উপকার পাবেন। মরা চামড়া দূর হবে এবং ত্বকের ছিদ্রে অক্সিজেন যাবে। মরা চামড়া দূর করার জন্য স্ক্রাব ব্যবহার করুন সপ্তাহে একবার। ঘরে বসেই এটি বানাতে পারবেন।
চালের গুঁড়া, লেবুর রস, শসার রস গাজরের রস-এই উপকরণগুলো মিশিয়ে এক মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। অ্যালার্জি না থাকলে একটু কাঁচা হলুদ বা নিমপাতা মিশিয়ে নিন। অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করবে।
মাস্কঃ ত্বক ঠিক রাখতে এবং উজ্জ্বলতা বাড়াতে দিতে পারেন এই মাস্কটি।
একটি পাকা কলা, এক টেবিল চামচ চালের গুঁড়া বা ময়দা দুই টেবিল চামচ পাকা পেঁপে মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন।
অনেকের অভিযোগ, রোদে ত্বক পুড়ে যাচ্ছে। শুধু পাকা পেঁপে লাগিয়ে নিন। পোড়া ভাব কমে যাবে। শুষ্ক ত্বকের অধিকারীরা নিচের মিশ্রণটি লাগাতে পারেন। পরিমাণমতো দুধ মধু মেশান। সঙ্গে নিন পেঁপে কলার মিশ্রণ। মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন মুখে। তবে যাদের ত্বক স্বাভাবিক, তাদের এই প্যাকটির দরকার হবে না

চুলঃ


বাতাসে আর্দ্রতার কারণে ছত্রাক জন্ম নেয়। ফলাফল খুশকির উপদ্রব। পাশাপাশি আরেকটি সমস্যা-এই ঋতুতে চুলের গোড়া নরম থাকার কারণে চুল পড়ে বেশি। সুতরাং চুলের একটু বাড়তি যত্ন আবশ্যক। তাড়াহুড়ো না থাকলে চুলে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করাই ভালো। ভেজা চুল আঁচড়ানো থেকে বিরত থাকুন। সপ্তাহে দুবার না হলেও একবার চুলে ম্যাসাজ দেওয়া উচিত।
নারকেল তেল গরম করে এর সঙ্গে দিন লেবুর রস। চুলের গোড়ায় দিয়ে আলতো হাতে কিছুক্ষণ ঘষতে হবে। এতে মরা চামড়া বা খুশকি চলে যাবে। একটি তোয়ালে গরম পানিতে চুবিয়ে ১০ মিনিট মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। চুলের গোড়া শক্ত হবে।
মাস্কঃ টক দুই, মেথির গুঁড়া, নিমপাতা একটি ডিম ব্লেন্ড করে সপ্তাহে এক দিন মাথায় দিতে পারেন। রাখতে হবে ২০-৩০ মিনিট।
বর্ষায় যতটা সম্ভব ফ্যাশন উপকরণ চুলের আশপাশে না আনাটাই ভালো। রিবন্ডিং, স্পাইরাল বাইন্ডিং, আয়রন চুলের রং ব্যবহারে ক্ষতিই হবে চুলের
বর্ষার সময় বৃষ্টি ঝরবে না, তা তো হয় না তাই বলে ঘরে বসে থাকা চলবে না কারও, তাই না? বৃষ্টিতে পরিপাটি চুলের দফারফা হয়ে যায় প্রায়ই চুলটাকে ঠিকঠাক করে আবার সুন্দররূপে ফিরিয়ে আনার কৌশল জানিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান
বৃষ্টির পানি, ধুলাবালি আর ঘামে ভেজা চুলের চাই একটু বাড়তি পরিচর্যা বৃষ্টিভেজা চুল প্রথমেই শুকনো তোয়ালে দিয়ে হালকা করে মুছে নিতে হবে বাইরে বেরোলে অবশ্যই মনে করে ব্যাগে একটি ছোট তোয়ালে রেখে দিন চুলটা ফ্যানের নিচে বসে হালকা শুকিয়েও নিতে পারেন তারপর চুল বেঁধে নিন এটা হচ্ছে সাময়িক পরিচর্যা বৃষ্টিতে ভেজা চুলের আসল যত্নটা নিন বাসায় পৌঁছে অবশ্যই চুল শ্যাম্পু করে নিন ঋতুতে চুল প্রতিদিন শ্যাম্পু করুন ক্ষেত্রে কোমল শ্যাম্পু বেছে নিন যদি প্রতিদিন শ্যাম্পুতে সমস্যা হয় তবে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে চুল পরিষ্কার করুন
*** প্রাকৃতিক শ্যাম্পু হিসেবে সরষের খৈল বেছে নিতে পারেন রাতে ভিজিয়ে রাখুন এরপর ছেঁকে রসটা চুলে লাগান
*** রিঠা গুঁড়া করে ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে রসটি শ্যাম্পু হিসেবে ব্যবহার করতেl পারেন সপ্তাহে দুই দিন চুলে একটা প্যাক লাগান প্যাকটা চুলের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনে প্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন
 ***এক চামচ ভিনেগার একটি ডিম মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন
*** টক দই ডিম একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেনl
*** হেনা গুঁড়ো অথবা প্রাকৃতিক মেহেদি লাগাতে পারেনl
***বৃষ্টিভেজা চুলের জন্য গরম তেল মালিশ খুবই ভালো ক্ষেত্রে মাথার তালুতে আঙুলের মাথা দিয়ে ঘষে ম্যাসেজ করুন তারপর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় ভাপ নিতে পারেন

***বৃষ্টিতে ভেজার কারণে ঋতুতে চুল পড়ার প্রবণতাও বেড়ে যেতে পারে কারণ, চুল স্যাঁতসেঁতে তৈলাক্ত হয়ে পড়ে আর ধুলাবালি তো আছেই দুশ্চিন্তা না করে চুলের কিছু বাড়তি পরিচর্যার পরামর্শ দিয়েছেন ফারজানা আরমান
শুষ্ক চুলের ক্ষেত্রে নিচের প্যাক লাগাতে পারেন
 **মুলতানি মাটি ভিজিয়ে রেখে ফুলে উঠলে তা চুলে লাগান পরে ধুয়ে ফেলুনl
 **কলা ভালোভাবে চটকে নিন তারপর চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুনl
** মধু টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে লাগাতে পারেন তৈলাক্ত চুলের ক্ষেত্রেl
 **টক দই ভিনেগার মিশিয়ে লাগাতে পারেনl
** ডিম, মাখন মাল্টার রস একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেনl
**জাম্বুরার রস ডিম মিশিয়ে চুলে লাগানো যায় কোঁকড়া চুলের ক্ষেত্রেl
** কলা এক চামচ টক দই, এর সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে লাগাতে পারেনl
সাধারণ চুলের ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্যাক লাগাতে পারেন
**এ তো গেল বৃষ্টিভেজা চুলের পরিচর্যা তবে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে বাইরে বেরোনোর আগে প্রস্তুতি নেওয়াটা চুল পনিটেইল করে বেঁধে নিন অথবা সুন্দর একটা খোঁপার কাঁটায় আটকে নিন আর একটা সুন্দর ছাতা নিন ব্যাগে ভরে এবার কিন্তু বেরোনোর পালা

পায়ের যত্নঃ


যারা প্রতিদিন বাসার বাইরে বের হন, বর্ষাকালে নোংরা পানি পায়ে লাগা তাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়। নোংরা পানি স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার কারণে বর্ষাকালে পায়ে ছত্রাক সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। ফলে পায়ে চুলকানি, জ্বালাপোড়া, ছোটছোট ফুসকুরি, পায়ের তলা খসখসে হয়ে যাওয়াসহ নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়। এছাড়া আঙ্গুলের ফাঁকে ফাঁকে সাদা সাদা স্তর জমে থাকে, যা দেখতে একেবারে বিচ্ছিরি লাগে। পায়ের সঠিক যত্ন নিলে মিলবে এসব সমস্যার সমাধান
বাইরে থেকে ঘরে ফিরে জীবানুনাশক দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন। পা পরিষ্কার করার সময় নখের কোণায় জমে থাকা ময়লা ভালো মতো পরিষ্কার করুন। নখ কেটে ছোট করে রাখুন
সম্ভব হলে গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে পা ১০ মিনিট ডুবিয়ে রেখে নরম ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন।
অথবা গরম পানিতে ভিনেগার মিশিয়ে পা ২০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে পরিষ্কার করুন। গোসল করার পর পা শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। বর্ষাকালে কখনো খালি পায়ে হাটবেন না
ভেজা জুতা কিংবা মোজা পরবেন না। ভেজা জুতা কিংবা মোজা পড়লে পায়ে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভবনা থাকে। প্রতিদিনসুতি পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করুন। খোলামেলা আরামদায়ক সেন্ডেল ব্যবহার করুন।
সপ্তাহে একদিন ঘরে বসে পেডিকিউর করে নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ে অলিভ অয়েল মেখে ঘুমাতে যান

খাবারঃ
ঋতুভিত্তিক খাবার আমাদের সহায়তা করে রোগ প্রতিরোধে। রাহিমা সুলতানা বলেন, ‘বর্ষার সময় যে সমস্যাগুলো আমাদের হয়, সেগুলোর সমাধান পাওয়া যায় সময়ের খাবারগুলোতে। ঋতুতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত, শাকসবজি ফলমূল রাখুন প্রতিদিনের খাবারের তালিকায়। মাছ-মাংস একটু কম খেলে উপকার আপনিই পাবেন।
সৌন্দর্য বাইরে প্রকাশিত হলেও নিয়ন্ত্রিত হয় ভেতর থেকে। অভ্যন্তরীণ কার্যক্ষম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিচের সহজ নিয়মটি মেনে চলুন। ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেতে হবে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি, এক টেবিল চামচ লেবুর রস এক টেবিল চামচ মধু। হজমের সমস্যা এই ঋতুতে প্রায়ই হতে পারে। সমস্যা দূর করতে রইল ছোট্ট একটি টিপসঃ
এক টেবিল চামচ আদার রস, সিকি টেবিল চামচ জিরার পাউডার আধা কাপ স্বাভাবিক মাত্রার পানি মিশিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন, উপকার পাবেন
ভেষজ স্মানঃ
সারা দিনের দুর্বলতা, ক্লান্তিকর ভাব চাপ দূর করতে নিন ভেষজ পদ্ধতিতে গোসল। জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে তৈরি করবেন আপনার ভেষজ স্মান।
দরকারঃ নিমের পাতা, চায়ের পাতা, তুলসীর পাতা কাঁচা হলুদ গরম পানিতে ফুটিয়ে নিন। পরে এক টেবিল চামচ জলপাই বা তিলের তেল মেশান। ঘরে থাকলে জয়ফল দিতে পারেন, যা জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করবে। গোসলের শেষে ভেষজ উপকরণসমৃদ্ধ পানি দিয়ে শরীর ধুয়ে ফেলুন।
 
বর্ষায় শিশুর বাড়তি যত্ন নিনঃ
ঋতুতে প্রকৃতিতে জলীয়বাষ্প বেশি থাকে। গরম-ঠান্ডা মেলানো আবহাওয়া আমাদের শরীরের জন্য খুব একটা সুখকর নয়। বড়রা তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সাহায্যে ছোট ছোট সমস্যা থেকে মুক্তি পেলেও শিশুরা কিন্তু জলীয়বাষ্প মিশ্রিত বৈরি আবহাওয়ায় নানা রোগের ঝুঁকিতে থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি শরীরে লাগালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

কারণে ঋতুতে পরিবারের শিশুদের দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও বর্ষাকালে তীব্র বৃষ্টির কারণে এখন প্রায়ই রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যায়। বৃষ্টির পানির সঙ্গে রাস্তার নোংরা ময়লা পানিতে থাকে নানা জীবাণু। রাস্তার ময়লা পানি শিশুর ত্বকে লাগলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় তাদের ত্বকে মারাত্মক ইনফেকশন হতে পারে।

ঋতুতে আবহাওয়া মাঝে মাঝেই তীব্র গরম থাকে। গরমে শিশুর ত্বকে ঘামাচি হয়। পর্যাপ্ত আলোবাতাস না পেলে ঘামাচি পেকে গিয়ে শিশুর ত্বকে ইনফেকশন হতে পারে। এছাড়াও বৃষ্টির কাদামাটি, ময়লামিশ্রিত পানি  ত্বকে ক্যান্ডিরা ছত্রাক সংক্রমিত হতে পারে। ছত্রাক ব্যাকটেরিয়ার কারণে আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে ছত্রাক, খোস-পাঁচড়া, ঘামাচি, ফোড়া, দাদ, অ্যাকজিমা হতে পারে। বর্ষাকালে এসব ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আসুন কিছু তথ্য জেনে নিই

01. বর্ষাকালে ত্বক ভেজা থাকলে ত্বকে সহজেই ছত্রাক ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে। তাই ঋতুতে শিশুর ত্বক সবসময় শুকনো রাখতে হবে।

02.   শিশুর শরীরে বৃষ্টির পানি লাগলে সঙ্গে সঙ্গে তা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে শরীর ভালোভাবে মুছে দিতে হবে।

03.  শিশুকে ঋতুতে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কারণ জলীয়বাষ্পজনিত আবহাওয়ায় ত্বকে ময়লা জমে খোস-পাঁচড়াসহ সহজেই নানা ধরনের ইনফেকশন হতে পারে।

04.   শিশুকে কাদামাটি, ময়লামিশ্রিত রাস্তায় একদম নামতে দেয়া যাবে না।  বর্ষার কাদামাটি শিশুর ত্বকে হঠাৎ লেগে গেলে তা সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।

05.   বর্ষাকালে স্কুলে যাওয়ার সময় শিশুকে অবশ্যই রেইনকোট, ছাতা, গামবুট ব্যবহার করতে হবে। শরীরে কাদা, ময়লা পানি লাগলে তা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

06. খোলামেলা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে শিশুকে খেলতে দিতে হবে।

07.   গরমে শিশু ঘেমে গেলে শিশুর ত্বকে বেবি পাওডার ব্যবহার করতে হবে।

08. খাওয়া, গোসল, খেলাধুলা, হাত-মুখ ধোয়া, ঘামযুক্ত শরীর মুছিয়ে দেয়া শিশুর সুন্দর ত্বকের জন্য খুবই প্রয়োজন। তাই মায়েদের অবশ্যই এসব বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।

09.  বর্ষাকালে শিশুকে  ভিটামিন-সি জাতীয় ফলমূল পানি জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়াতে হবে। সেইসঙ্গে শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।

10.  বর্ষাকালে ত্বকে বারবার পানি লাগালে ত্বক ভেজা থাকার কারণে শিশুর ত্বকের ন্যাচারাল তেলভাব নষ্ট হতে পারে। কারণে ত্বকে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

11.  শিশুরা যদি হঠাৎ অনিচ্ছাকৃতভাবে বৃষ্টিতে ভিজে যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে মাথা শরীর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছিয়ে দিন।
ঋতুতে সুস্থতার জন্য সবাই সতর্ক থাকলেও পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্যটির দিকে আলাদা নজর দিতে হবে। মনে রাখতে হবে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়দের চেয়ে অনেক কম। কারণে শিশুদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।

বর্ষাকালে শুধু ত্বকের যতœ নয়, শিশুদের খাবার কাপড়-চোপড়ের দিকেও একটু বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। কারণ বর্ষাকালে চোখওঠা রোগ, পেটের অসুখ, ঠা-, কাশি ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি শিশুদেরই বেশি। গোসলের পর ত্বক ভালোভাবে মুছিয়ে দিতে হবে।

নরম জামা পরাতে হবে। ছয় ঘণ্টা পর পর জামা পাল্টে দেয়া ভালো। শিশুর বসবাস খেলার জায়গা পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতি সপ্তাহে শিশুর হাত, পায়ের নখ কেটে দিতে হবে খেয়াল রাখতে হবে আঙুলের ফাঁকে পানি জমে গিয়ে যেন সেখানে কোনো ছত্রাকের জন্ম না হয়।

তাই বলা যায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা ঋতুতে সবচেয়ে বেশি জরুরি। তাই আসুন বর্ষায় পরিবারের শিশুদের দিকে বাড়তি নজর দিই। সেইসঙ্গে কিছু নিয়ম মেনে চলি তাদের সুস্থতা নিশ্চিত করি।




বৃষ্টির দিনে ছেলেদেরও প্রয়োজন যত্ন


হঠাৎ করেই কাঠফাটা গরমের আবহাওয়া থেকে দেখা দিয়েছে বৃষ্টি সাত সকালে আজকাল প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি দেখা দিচ্ছে কিন্তু রোদ থাকুক আর বৃষ্টি ছেলেদের ঘরে বসিয়ে রাখা তো কখনোই সম্ভব হয় না অফিস হোক আর তরুণ প্রজন্মের আড্ডা, কোন কিছুই যেন মানে না বৃষ্টির বাধা তাই এই হঠাৎ বৃষ্টিতে ছেলের ত্বকের উপরেও পড়ে এক বিশাল কুপ্রভাব তাই প্রয়োজন উপযুক্ত যত্নের



ত্বকের যত্নঃ
* বৃষ্টির পানি মুখে লাগলেই, সাথে সাথেই তা মুছে নিতে হবে। কারন দীর্ঘসময় ধরে মুখে বৃষ্টির পানি লেগে থাকলে, ত্বকে দেখা দিতে পারে ছত্রাকের সংক্রমণ।
* মুখ পরিকার করতে যে, বিশেষ প্রসাধনী অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে, এমন কোন কথা নেই। যে কোন স্থানে যেকোনো সময় পরিষ্কার পানি পেলেই মুখ ধুয়ে নেয়া যায়। এতে করে ত্বকের উপর ধুলাবালি বেশী সময় জমে থাকতে পারে না।
* বাসায় এসে অবশ্যই ফেসঅয়াস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। সেক্ষেত্রে ত্বকের ধরনের প্রতি নজর দিন। যে কোন ফেসঅয়াস ব্যবহার না করাই ভালো। ত্বকের সাথে মিলিয়ে উপযুক্ত ফেসঅয়াস ব্যবহার করতে হবে।
* ত্বকের দীর্ঘসময় বাইরের ধুলাবালি আটকে থাকলে, লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাবার ভয় থাকে। তাই দিনে অন্তত চার থেকে পাঁচবার মুখে পানির ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে করে লোমকুপ বন্ধ হবার ভয় থাকবে না।
* বাসায় ফিরে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য গোলাপ জলের সাথে সামান্য গ্লিসারিন মিশিয়ে মুখ ধুলে উপকার পাওয়া যাবে। অন্যদিকে স্বাভাবিক ত্বকের ক্ষেত্রে মুখে টোনার লাগিয়ে মুখ মুছে নিন।
* ত্বক সুস্থ রাখতে প্রচুর পানি খাওয়া প্রয়োজন। অনেকেই বৃষ্টির সময় ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় পানি কম পান করেন। কিন্তু এটা কখনোই উচিত নয়, প্রতিদিন - গ্লাস পানি খাওয়া প্রয়োজন। এতে ত্বকের দারুণ উপকার হয়।

চুলের যত্নঃ
* চুল পরিষ্কার রাখতে এসময় চুল ছেঁটে ছোট করে নেয়াই ভালো। এতে যত্ন নিতে সুবিধা হবে।
* এসময় আবহাওয়ায় আদ্রতা বেশী থাকে। তাই চুল খুব সহজেই তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। তাই খুব বেশী হলে দুই দিন পর পর চুল পরিষ্কার করতে হবে। তবে এক্ষেত্রেও চুলের ধরন দেখা প্রয়োজন। আর প্রতিদিন শ্যাম্পু করার ক্ষেত্রে হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করা ভালো। তাছাড়াও এসময় ময়লা ধুলায় চুল অনেক আঠা হয়ে যায়। তাই নিয়মিত শ্যাম্পু করা জরুরি।
* শ্যাম্পু করার আগে শ্যাম্পুর সাথে অল্প পরিমান পানি মিশিয়ে চুলে লাগাতে হয়। এতে করে চুলের প্রতিটি গোঁড়ায় শ্যাম্পু পৌছাতে পারে।
* এসময় বেশী ময়লা জমে মাথায় চুলকানি সৃষ্টি হতে পারে, তাই এই সমস্যা দূর করতে, এক মগ পানিতে এক চামচ ভিনেগার মিশিয়ে শ্যাম্পু করবার পর মাথায় লাগালে, চুলকানি সেরে যায়।
* শ্যাম্পু করবার আগে মাথায় তেল লাগালে ভালো হয়। প্রতিবার শ্যাম্পু করার পূর্বে ঘণ্টার জন্য তেল লাগিয়ে রাখতে হবে। ঘন্টা পর চুলে শ্যাম্পু করে নিন সেক্ষেত্রে নারকেল তেল ছাড়াও অলিভ অয়েল বা তিলের তেল হালকা গরম করে, তুলার সাহায্যে মাথার গোঁড়ায় লাগানো যায়। এতে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
* চুলের জন্য আমলকী অনেক উপকারী। তাই প্রতিদিন বেশ কয়েকটা আমলকী চিবিয়ে খেলে চাউলের জন্য উপকার হয়।

রূপচর্চা শুধু মেয়েদের জন্য নয়, এটা আজকালকার ছেলেরা প্রমান করেছে। তারা এখন নিজের সৌন্দর্য নিয়ে বেশ সচেতন। তাই এই বৃষ্টির দিনে নিজেকে ভালো রাখতে ত্বক চুলের বিশেষ যত্নে ছেলেদেরও পিছিয়ে থাকা যাবে না  
    
 (Collected)

1 comment:

  1. বৃষ্টির পানিতে গোসল করে ছেলেটা তো দেখি দারুন উজ্জল হয়ে গেছে,
    এর পর বৃষ্টি হলেই আমি ঝপিয়ে পড়ব।যাতে আমিও ফর্সা হয়ে যাই।

    ReplyDelete