Saturday, November 14, 2015

পাথরকুচি গাছ ও পাতার গুনের কথা

পাথরকুচি

 বীরুৎজাতীয় একটি ঔষধি উদ্ভিদ দেড় থেকে দুই ফুট উঁচু হয় পাতা মাংসল মসৃণ, আকৃতি অনেকটা ডিমের মতো পাতার চারপাশে আছে ছোট ছোট গোল খাঁজ এই খাঁজ থেকে নতুন চারার জন্ম হয় কখনো কখনো- বিশেষ করে গাছ বুড়ো হয়ে গেলে- গাছেই ওই খাঁজ থেকে চারা গজায় গাছ থেকে খাঁজকাটা একটি পাতা মাটিতে ফেলে রাখলেই অনায়াসে চারা পাওয়া যায় বাংলাদেশ ভারতে এই গণের কয়েকটি প্রজাতি পাওয়া যায় কাঁকরমাটিতে সহজেই জন্মে, তবে ভেজা, স্যাঁতসেঁতে জায়গায় দ্রুত বাড়ে এবং মানুষের সমান উঁচু হয়ে যায় কোথাও কোথাও কফপাতা নামে পরিচিত আরেকটি নাম পাটিয়াপুরি
পাথর কুচি গাছের সাথে আমরা সকলেই কম বেশী পরিচিত। নানা রকশ ঔষধি গুনাগুন সমৃদ্ধ গাছের পাতা প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে চিকিৎসার ক্ষেত্রে। চলুন তাহলে আজ জেনে নেই পাথরকুচি গাছ এর নানা রমক ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে।
স্থানীয় নাম: পাথর কুচি
ভেজষ নাম: Kalanchoe pinnata Pers Crassulaceae
রোপনের সময়: বছরের যে কোনো সময়ে রোপন করা যায়
চাষের ধরণঃ যে কোনো মাটিতে গাছ জন্মে, এর পাতা ভেজা মাটির উপর রেখে দিলে পাতার খাঁজ কাটা অংশ থেকে কচুরি পানার বিজের মত পাথরকুচির বিজ বের হয়
পরিচিতি: গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। সাধারণতঃ দেড় থেকে তিন ফুট উঁচু হয়ে থাকে। এর পাতা মাংসল এবং মসৃন। পাতা দেখতে অনেকটা ডিম্বাকৃতি। কিনারা খাঁজ কাটা। মুল কান্ডের অগ্রভাগে গুচ্ছবদ্ধ নিম্নামুখি ফুল হয়। দেখতে ঝালর বাতির মত। ভিতরে ফাঁপা। ফুল লম্বায় এক থেকে দেড় ইঞ্চি হয়ে থাকে। পুস্পের বাহিরের দিকে সবুজ লাল সাদা দাগ থাকে। শীতকালে ফুল গ্রীস্মকালে ফল হয়

পাথরকুচি পাতা ঔষদি গুনাগুন:

মেহ, সর্দি, মুত্র রোধে, রক্তপিত্তে, পেট ফাঁপায়, শিশুদের পেট ব্যথায়, মৃগীরোগে পাথরকুচির ঔষধী গুনাগুন রয়েছে

পেট ফাঁপায়ঃ অনেকের দেখা যায় পেটটা ফুলে গেছে, প্রস্রাব আটকে যাছে, আধোবায়ু, সরছেনা, সেই ক্ষেত্রে একটু চিনির সাথে এক বা দুই চা চামচ পাথর কুচির পাতার রস গরম করে সিকি কাপ পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। এর দ্বারা মুত্র সরল হবে, আধো বায়ুরও নিঃসরণ হবে, ফাঁপাটাও কমে যাবে
শিশুদের পেট ব্যথায়ঃ শিশুর পেটব্যথা হলে, ৩০-৬০ ফোঁটা পাথর কুচির পাতার রস পেটে মালিশ করলে ব্যথার ঊপশম হয়।তবে পেট ব্যথা নিশ্চিত হতে হবে।
মৃগী রোগেঃ- রোগাক্রান্ত সময়ে পাথর কুচির পাতার রস -১০ ফোঁটা করে মুখে দিতে হবে। একটু পেটে গেলেই রোগের ঊপশম হবে
সর্দিতেঃ যে সর্দি পুরান হয়ে গেছে সেই ক্ষেত্রে এটি বিশেষ উপযোগী। এই কফ বিকারে পাথরকুচি পাতা রস করে সেটাকে একটু গরম করতে হবে এবং গরম অবস্থায় তার সাথে একটু সোহাগার খৈ মেশাতে হবে। চা চামচের সাথে ২৫০ মিলিগ্রাম যেন হয়। তা থেকে চা চামচ নিয়ে সকালে বিকালে বার খেতে হবে। এর দ্বারা পুরান সর্দি সেরে যাবে এবং সর্বদা কাসি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে
কাটা বা থেতলে গেলেঃ টাটকা পাতা পরিমান মত হালকা তাপে পাতা গরম করে কাটা বা থেতলে যাওয়া স্থানে সেক দিলে আরাম পাওয়া যায়
রক্তপিত্তেঃ পিত্ত জনিত ব্যথায় রক্ত ক্ষরণ হলে দুবেলা এক চা চামচ পাথর কুচির পাতার রস দুইদিন খাওয়ালে সেরে যাবে
মেহঃ সর্দি জনিত কারনে শরীরের নানান স্থানে ফোঁড়া দেখা দেয়। সে কারনে ব্যথা হয়। যাকে মেহ বলা হয়। ক্ষেত্রে পাথরকুচির পাতার রস এক চামচ করে সকাল বিকাল একসপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যায়
শরীর জালাপোড়ায়ঃ দু চামচ পাথর কুচি পাতার রস আধা কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে দুবেলা সবনে শরীরের জালাপোড়া দুর হয়


(সকল ছবি ও ডকোমেন্ট সংগৃহিত: https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%9A%E0%A6%BF
https://www.google.com.bd/webhp?sourceid=chrome-instant&ion=1&espv=2&ie=UTF-8#q=%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%9A%E0%A6%BF)


No comments:

Post a Comment