Wednesday, March 12, 2014

ভ্যাসেলিন যা পেট্রোলিয়াম জেলি নামে পরিচিত

ভ্যাসেলিন যা পেট্রোলিয়াম জেলি নামে পরিচিত


পেট্রোলিয়াম জেলি  যা নামেও  ভ্যাসেলিন,পরিচিত, আমাদের গৃহস্থালির একটি অন্যতম অনুষঙ্গ

ভ্যাসলিন এক ধরনের পেট্রোলিয়াম জেলি। ১৮৭২ সালে রবার্ট চিসবার্গ এ জেলি আবিষ্কার করেন। তিনি একটি তেলের কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন, সেখানকার শ্রমিকরা তেলের নির্যাস ত্বকের কাটা অথবা পুড়ে যাওয়া অংশে ব্যবহার করেন। এটাই আধুনিক সময়ের ভ্যাসলিন। তেল বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার পর যে তলানি জমে, তা থেকেই তৈরি হয় ত্বক ফাটার এ প্রতিরোধক। শুষ্কতা, ত্বকের দাগ ইত্যাদি দূর করতেই এটি ব্যবহার হয়। - See more at: http://www.bonikbarta.com/rong-dong/2013/10/25/20101#sthash.kvFSNANY.dpuf

ভ্যাসলিন এক ধরনের পেট্রোলিয়াম জেলি ১৮৭২ সালে রবার্ট চিসবার্গ জেলি আবিষ্কার করেন তিনি একটি তেলের কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন, সেখানকার শ্রমিকরা তেলের নির্যাস ত্বকের কাটা অথবা পুড়ে যাওয়া অংশে ব্যবহার করেন এটাই আধুনিক সময়ের ভ্যাসলিন তেল বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার পর যে তলানি জমে, তা থেকেই তৈরি হয় ত্বক ফাটার প্রতিরোধক শুষ্কতা, ত্বকের দাগ ইত্যাদি দূর করতেই এটি ব্যবহার হয়

 
ভ্যাসলিন এক ধরনের পেট্রোলিয়াম জেলি। ১৮৭২ সালে রবার্ট চিসবার্গ এ জেলি আবিষ্কার করেন। তিনি একটি তেলের কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন, সেখানকার শ্রমিকরা তেলের নির্যাস ত্বকের কাটা অথবা পুড়ে যাওয়া অংশে ব্যবহার করেন। এটাই আধুনিক সময়ের ভ্যাসলিন। তেল বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার পর যে তলানি জমে, তা থেকেই তৈরি হয় ত্বক ফাটার এ প্রতিরোধক। শুষ্কতা, ত্বকের দাগ ইত্যাদি দূর করতেই এটি ব্যবহার হয়। - See more at: http://www.bonikbarta.com/rong-dong/2013/10/25/20101#sthash.kvFSNANY.dpuf
ভ্যাসলিন এক ধরনের পেট্রোলিয়াম জেলি। ১৮৭২ সালে রবার্ট চিসবার্গ এ জেলি আবিষ্কার করেন। তিনি একটি তেলের কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন, সেখানকার শ্রমিকরা তেলের নির্যাস ত্বকের কাটা অথবা পুড়ে যাওয়া অংশে ব্যবহার করেন। এটাই আধুনিক সময়ের ভ্যাসলিন। তেল বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার পর যে তলানি জমে, তা থেকেই তৈরি হয় ত্বক ফাটার এ প্রতিরোধক। শুষ্কতা, ত্বকের দাগ ইত্যাদি দূর করতেই এটি ব্যবহার হয়। - See more at: http://www.bonikbarta.com/rong-dong/2013/10/25/20101#sthash.kvFSNANY.dpuf

পেট্রোলিয়াম জেলি হচ্ছে হাইড্রোকার্বনের সেমি- সনিট মিশ্রন যা তৈল জাতীয় পদার্থ থেকে রিফাইন মাধ্যমে পাওয়া, খনি থেকে তেল উত্তোলনের পর তেল থেকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জেলী আলাদা করা হয়। এক কথায় পেট্রোলিয়াম জেলী তেল শোধনাগারের উপজাত পদার্থ। 


সচরাচর করা হয় না ভ্যাসেলিনের এমন ১৫ টি  ব্যবহার ও ভ্যাসলিনের যত গুণ

:

.   লিপস্টিক দূর করে:
অনেক সময় দাঁতে লিপস্টিক লেগে যেতে পারে। অল্প কিছু ভ্যাসেলিন দাঁতে লাগিয়ে এটি পরিহার করা যায় এবং এগুলি মসৃণ রাখা যায়
আপনার চুলকে আরও স্বাস্থ্যজ্জ্বোল করে তোলে:
আপনার চুলকে আরও স্বাস্থ্যজ্জ্বোল দেখাতে ভ্যাসেলিন ব্যবহার করা যেতে পারে। অল্প একটু ভ্যাসেলিন নিয়ে তা চুলের আগায় লাগান এবং পূর্বের সাথে এর পার্থক্য খেয়াল করুন
সুপার গ্লু টিউবের মুখে:
সুপার গ্লু টিউবের মুখ অথবা যে কোন পেচিয়ে খুলতে হয় এমন পাত্রের মুখ সহজে খুলতে এর প্যাচের মধ্যে ভ্যাসেলিন লাগিয়ে নিতে পারেন
চামড়ার সামগ্রীতে:
আপনার চামড়ার জুতা, হাতব্যাগ, বা জ্যাকেটের ঔজ্জ্বল্য দীর্ঘস্থায়ী করতে এদের পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে পালিশ করে দেখতে পারেন
চুলের রং করা কালীন সময়ে:
মাথার চুলে রং করার সময় কপাল, কান এবং চুলের পাশের ত্বকের যেসকল অংশ অস্বস্থিকর রং থেকে রক্ষা করতে চান সেখানে ভ্যাসেলিন লাগাতে পারেন
চুলের আগা ফাটা রোধ করতে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুলের আগায় একটু ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে চুলের আগা ফাটা কমে যাবে
সুগন্ধি:
পারফিউম দেয়ার আগে হাতে বা গলায় ভ্যাসলিন লাগিয়ে সেখানে পারফিউম স্প্রে করুন। ভ্যাসলিন অনেকক্ষণ পর্যন্ত পারফিউমের সুগন্ধ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
চুইংগাম দূর করতে:
টেবিলের নীচে বা অন্য কোন কাঠের তাকে যদি চুইংগাম লেগে থাকতে দেখেন তবে তাতে অল্প ভ্যাসেলিন লাগিয়ে তা উঠে আসা পর্যন্ত ভাল করে ডলতে থাকুন এবং সেগুলি উঠিয়ে ফেলুন
শক্ত হয়ে এঁটে বসা আংটি খুলতে:
আপনার আঙ্গুল থেকে আংটি খুলতে আর যুদ্ধ করতে হবে না। আঙ্গুল থেকে এটি খুলতে আঙ্গুলে অল্প ভ্যাসেলিন লাগান, সহজে এটি বেরিয়ে আসবে
ডায়াপারের রেশ থেকে রক্ষা পেতে:
আপনার শিশুকে ডায়াপারের র্যাশ জনিত ব্যাথা থেকে রক্ষা করুন। ভ্যাসেলিন পেট্রোলিয়াম জেলির আপনার শিশুকে এধরণের র্যাশ থেকে রক্ষা করার শক্তি আছে
১০শ্যাম্পুতে আর চোখ জ্বলুনি নয়:
পেট্রোলিয়াম জেলি আপনার আই ভ্রু তে ভ্যাসেলিন মাখিয়ে দিন, এটি  চোখে শ্যাম্পুর প্রবেশ ঠেকাতে প্রতিরক্ষা ব্যূহ হিসাবে কাজ করবে
১১পানির দাগ দূর করতে:
আপনি কি প্রায়ই গ্লাসের তৈরি আসবাবের উপর পানির গ্লাস বা চায়ের কাপের গোল দাগ দেখতে পান? এই নিন এর একদম উপযুক্ত সমাধান, এতে অল্প একটু ভ্যাসেলিন দিন এবং সারারাত রেখে দিন। এটি আপনার আসবাব পত্রের দাগ দূর করে দেবে
১২জন্মদিনের মোমবাতি:
জরুরী প্রয়োজনে আপনার জন্মদিনের মোমবাতি গুলির আরও বেশী দীর্ঘ স্থায়িত্বের জন্য এগুলিতে ভ্যাসেলিনে মাখিয়ে নিতে পারেন।
১৩পিঁপড়া ঠেকিয়ে রাখতে:
খাদ্যপাত্রে রাখা আপনার পোষা প্রাণীর খাবার পিঁপড়ার সম্ভাব্য আক্রমন থেকে রক্ষা করতে পারেন। খাদ্যপাত্রের তলদেশের চারিদিকে ভ্যাসেলিন মাখিয়ে দিন যাতে পিঁপড়া এর থেকে দূরে থাকে

 ১৪গাড়ির ব্যাটারি রক্ষা করতে:
ভ্যাসেলিন গাড়ির ব্যাটারিকে মরিচা পরা থেকে রক্ষা করতে পারে। আপনার ব্যাটারির টার্মিনালের সাদা ধাতব অংশে ভ্যাসেলিন লাগিয়ে তাকে মরিচামুক্ত রাখতে পারেন

১৫পায়ের গোড়ালির সুরক্ষায়:
আপনার পা এবং গোড়ালি মসৃণ এবং নরম রাখতে তাতে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখুন। পায়ে মেখে তার উপর মোজা পরে ১৫-২০ মিনিট বা সারারাত রেখে দিন। এতে আপনার গোড়ালির ফাটা দাগ দূর হবে এবং একে মসৃণ এবং নরম রাখবে


১6পায়ের গোড়ালির সুরক্ষায়:
- পারফিউম দেয়ার আগে হাতে বা গলায় ভ্যাসলিন লাগিয়ে সেখানে পারফিউম স্প্রে করুন। ভ্যাসলিন অনেকক্ষণ পর্যন্ত পারফিউমের সুগন্ধ ধরে রাখতে সাহায্য করে।


উপরে বর্নিত এতশত গুন থাকার পরও ভ্যাজলিন ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে কারন,
ডা. ডেটনার বলেছেন:
পেট্রোলিয়াম জেলি ত্বক ভেজা নরম রাখার জন্যই ব্যবহার করা হয়, যা পানিরোধক অর্থাত্ ভ্যাসলিন লাগানো ত্বকে পানির মিশ্রণ ঘটে না ভ্যাসলিন লাগালে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায় এতে করে ঘাম অথবা বাষ্প ত্বকেই আটকে থাকে তাই মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার না করে ভ্যাসলিন লাগানো উচিত নয় যাদের ত্বকে ব্রণ বা লালচে দাগ আছে, তাদের ভ্যাসলিন ব্যবহার না করাই ভালো কারণ ত্বক নরম করা পদার্থের এমন আস্তরণ এসব রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় যারা শুষ্ক নাকে ভ্যাসলিন ঘষেন, তাদেরও সতর্ক থাকা দরকার কারণ পেট্রোলিয়ামের উপাদান ফুসফুসে গেলে তা নিউমোনিয়ার কারণ হতে পারে ফলে প্রতিদিন এবং প্রতি মুহূর্তে ভ্যাসলিন ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন ডেটনার
কেন মানুষ এটি ব্যবহার করে, তার উত্তরও দিয়েছেন ত্বক বিশেষজ্ঞ। সাধারণত দাম কম এবং সহজলভ্যতার কারণেই মানুষ এটি ব্যবহার করে। সাবান দিয়ে হাত অথবা মুখ ধোয়ার সময় ত্বকের উপরিস্থিত কিছু তেল ধুয়ে যায়। ত্বক তখন শুকনো হয়ে যায়। শুকনো ভাব দূর করতে মানুষ ভ্যাসলিন ব্যবহার করে ভেজা ভাব ফিরিয়ে আনে।এটা অনেকটা ত্বকের ওপর একটা প্লাস্টিকের আবরণের মতো’— বলেন তিনি; যা ত্বকের বাষ্পীভবন আটকে রাখে। সুতরাং নিয়মিত ব্যবহারের আগে ত্বকের সঙ্গে জেলি কতটা মানানসই, তা বুঝে নেয়া দরকার
তাহলে বিকল্প কী ব্যবহার করা উচিত? বিষয়ে মেকআপ বিশেষজ্ঞ কেটি ডেনো জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক উপাদানের ওপর নির্ভরতাই শ্রেয়। যেমন মৌমাছির মোম, নারকেল তেল, জলপাই তেল ইত্যাদি। আমাদের দেশে সরিষার তেলও অনেকেই ব্যবহার করে শুষ্ক ত্বক থেকে রক্ষা পেতে। এছাড়া গ্রামীণ পদ্ধতি হলো ঠোঁটে ত্বকে শিশির মাখা। এসব ব্যবহারে রোমকূপ আবদ্ধ থাকে না; যার কারণে ত্বক তাপ বাষ্প বর্জনে সক্ষম থাকে
অতএব বেশি বেশি ভ্যাসলিন নয়, শীতে প্রাকৃতিক উপাদানের ওপরই ভরসা


No comments:

Post a Comment