Tuesday, November 11, 2014

শীত দূরীকরণে খাবারের তালিকা-FOOD LIST



শীত দূরীকরণে খাবারের তালিকা

গুটি গুটি পায়ে আসছে শীত সময় প্রকৃতির রুক্ষতা শুষ্কতা ছাপ ফেলে শরীরেওশীতটা বেশ জাঁকিয়েই বসেছে কিছুদিন যাবত ঠাণ্ডায় জমে যাওয়ার মত অবস্থা সোয়েটারের ওপর জ্যাকেট আর জ্যাকেটের ওপরে শাল পরেও যেন শীত কমছে না বাইরে বেরুনোর কথা শুনলেই লেপের নিচে যাওয়ার কথা মাথায় আসে কিন্তু কাজের ব্যস্ততায় বাইরে তো বের হতেই হবে লেপের নিচে তো আর সব সময় থাকা যাবে না কিন্তু কেমন হয় বলুন তো, যদি এই শীতকালের হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডাকে একটু কমিয়ে দেয়া যায়? ভাবছেন, কী করে? কিছু খাবারকে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করে! হ্যাঁ, এমন কিছু খাবার আছে যা ঠাণ্ডা দূর করে শরীরে এনে দেবে উষ্ণতা তাই শীতের শুরুতেই জেনে নিন ভালো সুস্থ থাকার কিছু উপায় আসুন জেনে নেই সেই খাবারগুলো সম্পর্কে

গরম পানীয়:
তাৎক্ষনিক ভাবে শীত কমানোর জন্য গরম কোন পানীয় খাওয়ার অন্য কোন বিকল্প নেই।
 শীতটা একটু বেশী লাগলেই এক কাপ চা অথবা কফির মগটি টেনে নিতে পারেন। কিন্তু দিনে / কাপের বেশী খাবেন না চা অথবা কফি। চা বা কফির বদলে পান করতে পারেন হট চকোলেট কিংবা হট চকোলেট মিল্ক। উপকার পাবেন সাথে সাথেই। তবে ঠাণ্ডা দূর করার জন্য সবচাইতে উপকারী আদা চা কিংবা মসলা চা। কফি বা গ্রিন টি এর চাইতে এই মসলা চা দ্রুত আপনাকে এনে দেবে উষ্ণতা।



স্যুপ স্টু জাতীয় খাবার
বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে তুলনামূলক কম পরিমাণ পানি খাওয়া হয়। কিন্তু এটি একেবারেই ঠিক নয়। ঠাণ্ডা পানি খেতে যাদের সমস্যা, তারা একটু উষ্ণ পানি খেতে পারেন।শীত দূর করার জন্য খেতে পারেন স্যুপ বা স্টু। শীতের সন্ধ্যায় গরম গরম স্যুপের বাটি নিয়ে মজা নিন স্যুপের। এতে শরীর গরম হবে। ঠাণ্ডা দূর হবে নিমেষেই। স্যুপে একটু ঝাল যোগ করতেও ভুলবেন না যেন। এছাড়া স্যুপ স্বাস্থ্যের ন্য অনেক বেশী ভালো। যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা রাতের ভারী খাবারের পরিবর্তে স্টু রাখতে পারেন। ঠাণ্ডা দূর হবে শরীরও ভালো থাকবে।  ব্রেকফাস্ট, দুপুরের খাবারের মাঝে স্যুপ, গরম দুধ, ফলের রস, মাঝেমধ্যে ডাবের পানি খেতে পারেন। এতে পানিশূন্যতা থাকবে না।

কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার
যে সব খাবারে কার্বোহাইড্রেট বেশী পরিমাণে বিদ্যমান সেসব খাবার ঠাণ্ডা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। কার্বোহাইড্রেট শরীরের থাইরয়েড অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি গুলোতে পৌঁছে শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। রক্ত সঞ্চালন করে। এতে করে ঠাণ্ডা অনেকাংশে কমে যায়। আটার রুটি, ভাত, চিনি, ডাল এই সবই কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার। যদি স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার চান তবে ওট, বাদামী চাল কিংবা বার্লি খেতে পারেন।
তেল বা চর্বি বরাবরই ঠাণ্ডা দূর করতে বেশ কাজে লাগে। শীতের খাবারে ঘি, সরিষার তেল অলিভ অয়েল ব্যবহার করে দেখুন। শরীরকে গরম রেখে ঠাণ্ডা দূর করবে এবং খাবারের স্বাদে নতুনত্ব আসবে। সকালের নাস্তায় ঘিয়ে ভাজা পরোটা, ভাতের সাথে সরিষার তেলের আলুভর্তা, সালাদে অলিভ অয়েলের জাদু- দেখবেন শীত কোথায় পালিয়ে গেছে! খাওয়ার পাশাপাশি তেল গায়ে মেখেও ঠাণ্ডা দূর করতে পারেন। ঠাণ্ডা লাগলে সরিষার তেল নিয়ে পায়ে মেখে ফেলুন।
 
মশলাযুক্ত খাবার
যদিও বেশী মশলাযুক্ত খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। কিন্তু আপনি শীতে একটু মসলা খাবারে যোগ করতে পারেন। পরিমিত পরিমান মশলাযুক্ত খাবার আপনার শরীরকে গরম করবে। ঠাণ্ডা দূরে রাখবে। গ্রিল করে নেওয়া রান্না স্বাস্থ্যসম্মত এবং বছরের যে কোনো সময়ই তা খাওয়া যেতে পারে। তবে, শীতের খাবার মেন্যুতে বাড়তি মাত্রা যোগ করতে পারে গ্রিল করা খাবার। আপনার রান্নাঘর আর ডাইনিং টেবিলে গ্রীষ্মকালের বারবিকিউ আবহটা শীতকালেও দারুণ মানিয়ে যাবে।সুতরাং এই শীতে খাবারে জিরা, ধনে, হলুদ, লবঙ্গ, পাপরিকা, গোলমরিচ, জায়ফল দারুচিনি যোগ করতে পারেন ঠাণ্ডা কমানোর জন্য। মশলা যুক্ত আচারও ঠাণ্ডা কমাতে সহায়ক।

আদা
আদা হজমের প্রক্রিয়া উন্নত করার পাশাপাশি প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে শরীরকে গরম করে। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এতে শীতের ঠাণ্ডা দূর হয়। খাবারে সামান্য আদা যোগ করুন। চায়ে, স্যুপে কিংবা খাবারে আদা দিন। এছাড়াও এক গ্লাস গরম পানিতে আদা ফুটিয়ে পান করতে পারেন। ঠাণ্ডা টেরও পাবেন না



প্রতিদিন সি ভিটামিন
শীতের ঠান্ডায় রোদ ঝলমলে দিনগুলো শেষ, মলিন হয়ে যাচ্ছে সব বিবর্ণতা কাটিয়ে গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে বেশি করে খান ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার মনে করে প্রতিদিনই খান নির্দিষ্ট পরিমাণ ভিটামিন সি। শুধু শীতকালেই নয়, বছরজুড়েই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। এছাড়া ক্লান্তি দুর্বলতা কমাতেও কাজে লাগবে এই খাদ্যাভ্যাস।ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার যেমন লেবু, কমলালেবু, পেয়ারা, মালটা প্রতিদিন খাবারের তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন।

 সালাদ, হালকা খাবার খান

শীতের সময় বা এই ঠান্ডার মাসগুলোতে আমাদের খাদ্যগ্রহণের পরিমাণও যেন বেড়ে যায়, বিশেষত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের চাহিদা। আমরা সময়ে ক্যালরিও গ্রহণ করি বেশি। আর এতে আমাদের ওজন বাড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তার চেয়ে ফল আর সালাদ খেয়ে কাটানো গরমের দিনগুলোর দিকেই ফেরার চেষ্টা করা আখেরে ভালো ফল দেয়। মৌসুমে শীতকালীন সবজি আর ফলমূলও অনেকটা সহজলভ্য আর দামেও কম। তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকা চাই মৌসুমী শাক-সবজি আর তাজা ফল



No comments:

Post a Comment