Tuesday, January 19, 2016

কামরাঙ্গায় রোগ প্রতিরোধ- Carambola


খেতে টক হোক বা মিষ্টি, কামরাঙ্গা ফলটির সবটুকুই উপকারী  বিশ্বজুড়ে কামরাঙ্গা স্টার ফ্রুট বা ক্যারামবোলা নামে পরিচিত। শ্রীলংকা, ভারত বা ইন্দোনেশিয়াতে এর উৎপত্তি।এই ফলে তৈরি করা যায় নানা রকম খাবার। এই যেমন-জেলি, জ্যাম, মোরব্বা, চাটনি আচার।চলুন আজ এর বিভিন্ন গুণের কথা জানা নেওয়া যাক।অনেকের ধারণা যে সব ফল কিনতে খরচ বেশি হয় এসব ফল পুষ্টি গুণেভরা। কিন্তু এমন অনেক ফল আছে যা খুব সস্তায় পাওয়া যায় অথচ সব ধরণের গুণের সংমিশ্রণে ঠাসা।এদের মধ্যে কামরাঙ্গা একটা


কামরাঙ্গা

একটি চিরসবুজ ছোট মাঝারি আকৃতির গাছের টকমিষ্টি ফল। গাছ ১৫-২৫ ফুট লম্বা হয়। ঘন ডাল পালা আচ্ছাদিত, পাতা যৌগিক, - ইঞ্চি লম্বা। বাকল মসৃন কালো রংএর। ফল - ইঞ্চি ব্যাসের এবং ভাজযুক্ত। ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পাকলে হলুদ। কামরাঙ্গা টক স্বাদযুক্ত বা টকমিষ্টি হতে পারে। কোন কোন গাছে একাধিকবার বা সারাবছরই ফল পাওয়া যায়। এটি ভিটামিন সি এর ভাল উৎস। সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারিতে ফল পাওয়া যায়
বৈজ্ঞানিক নাম: Averrhoa carambola Linn. পরিবার: Oxalidacea ইংরেজি নাম: Chinese gooseberry, Carambola

পুষ্টিগুণ:
কামরাঙ্গা ভিটামিনসি একটি বড় উৎস। কামরাঙ্গাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট পটাশিয়াম।

রুপচর্চায়:
দৃষ্টিনন্দন ফল ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও সহায়তা করে। পাশাপাশি ফল কাজ করে চুল, ত্বক, নখ দাঁতের নানা সমস্যা সমাধানে।এর রস চুলে মাখলে খুশকির সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়।


ঔষধিগুণ:
*** কামরাঙ্গা পুড়িয়ে ভর্তা করে খেলে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে দীর্ঘদিনের জমাট সর্দি বের করে দিয়ে কাশি উপশম করে শুকনো কামরাঙ্গা জ্বরের জন্য খুব উপকারি

*** কামরাঙ্গায় ঔষুধিগুণ রয়েছে প্রচুর। নিয়মিত কামরাঙা খেলে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।কামরাঙ্গা রক্ত পরিশোধন করে কামরাঙ্গার পাতা কচি ফলে আছে ট্যানিন, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে

*** ফল এবং পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে পান করলে বমি বন্ধ হয়। পাতা ডগার গুঁড়া সেবনে জলবসন্ত বক্রকিৃমি নিরাময় হয়। কাশি অ্যাজমা নিরাময়ে পোড়াকামরাঙ্গা উপকারী

*** শুকনো কামরাঙ্গার গুঁড়া পানির সঙ্গে রোজ একবার করে খেলে অর্শ রোগে উপকার পাওয়া যায় আর বাতের ব্যথায়ও কামরাঙ্গা বেশ উপকারি

***কামরাঙ্গা রুচি হজমশক্তি বাড়ায় পেটের ব্যথায় কামরাঙ্গা খুব উপকারি কামরাঙ্গায় আছে এলজিক এসিড এটি অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে


তবে যারা কিডনি জটিলতায় ভুগছেন তাদের কামরাঙ্গা থেকে সতর্ক থাকা উচিৎ। যেমন- কিডনিতে পাথর বা যারা কিডনি ডায়ালাইসিস চিকিৎসায় আছেন তাদের কামরাঙ্গা খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকা উচিত। কেননা কামরাঙ্গাতে রয়েছে অক্সালিক এসিড যা কিডনি জটিলতায় ভুক্তোভুগীদের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে

(উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ  ও ইন্টারনেট থেকে সংগৃহতি)


Monday, November 30, 2015

ভেষজ বা হারবাল উপায়ে রোগের চিকিৎসা

নিজেই করুন ভেষজ বা হারবাল উপায়ে রোগের চিকিৎসা। এই ভেষজ চিকিৎসা একদিকে যেমন নিরাপদ, তেমনই সহজলভ্য আর নিরাময় ক্ষমতা সম্পন্ন জটিল সব রোগের জন্য কখনো কখনো লক্ষ লক্ষ টাকাও খরচ হয় ক্ষেত্রে বিনা পয়সায় বন জঙ্গল থেকে আপনি নিজেই সংগ্রহ করতে পারেন বিভিন্ন ভেষজ উপাদান
আসুন, জেনে নেই কয়েকটি সহজ ভেষজ চিকিৎসা সম্পর্কে

) মায়ের বুকের দুধ বাড়াতেঃ
যেসব মায়েরা সন্তানকে পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ খাওয়াতে পারেন না তাদের জন্যে কলমি শাক দারুণ উপকারী। কলমি শাক বেটে / চামচ রস ঘি দিয়ে সাঁতলে নিয়ে দিনে দুবার সকালে বিকালে খেলে মায়ের দুধ বাড়বে। কলমি শাকের ভাজা খেলে তাতে কিন্তু কাজ হবে না
) মুখের ব্রুন দূরীকরণেঃ
মুখে উঠেছে ব্রণ? একটু খানি লবঙ্গ বাটা লাগিয়ে দিন ক্ষত স্থানে। দ্রুত মিলিয়ে যাবে, আবার দাগও থাকবে না
) পেট ফাঁপা দূরীকরণেঃ
পেট ফাঁপা কেবল বাচ্চাদের নয়, বড়দেরও অসুখ। ডালসহ পুদিনা পাতা / ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানি ছেঁকে খেলে পেট ফাঁপা ভালো হবে
) ঘামের দুর্গন্ধ দূরীকরণেঃ
অনেকেরই গায়ে প্রচণ্ড ঘামের দুর্গন্ধ হয়। গায়ে না হলেও পায়ে তো হয়ই। বেল পাতার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থান মুছুন কয়েকদিন।
) মুখের ঘা সমস্যা সমাধানেঃ

ঠোঁটের দুপাশে এবংমুখের ভেতরে অনেক সময় ঘায়ের মত হয়।গাব ফলের রসের সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে কয়েকদিন মুখ ধুলে ঘা সেরে যায়
) পেটে কৃমির সমস্যাঃ
পেটে কৃমির সমস্যা খুব যন্ত্রণাদায়ক। বাচ্চাদের জন্য তো অবশ্যই। তেঁতুল পাতার রস সামান্য পানিতে মিশিয়ে খেলে কৃমির সমস্যা দূর হয়। পেটের কৃমি দূর করতে প্রতিদিন সকালে নাস্তার পর এক চামচ নারকেল খেতে পারেন। এতে পেটের কৃমি দূর হয়ে যাবে
) নাক দিয়ে রক্ত পড়লেঃ
নাক দিয়ে রক্ত পড়লে ডাবের পানি রোজ খাওয়া উচিত। এর সঙ্গে খালি পেটে নারকেল খেলেও নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়
) দাঁত ব্যথা কমাতেঃ
দাঁত ব্যথা কমাতে একটি পেয়ারার পাতা নিয়ে ভালো করে চিবাতে থাকুন। চিবিয়ে রস বের করে নিন। দাঁতের ব্যথায় পেয়ারা পাতা চিবালে ব্যথা উপশম হয়
) বদহজমেঃ
অজীর্ণ রোগে বা বদহজমে নিমের ছাল আদর্শ ওষুধ। / গ্রাম নিমের ছাল এককাপ গরম পানিতে একরাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে সেই পানি ছেঁকে খালি পেটে খেলে অজীর্ণ সেরে যাবে
১০) লিভার বা যকৃতের ব্যথা সারাতেঃ
লিভার বা যকৃতের ব্যথা সারাতেও নিম এক নম্বর। গ্রাম নিমের ছাল, / গ্রাম কাঁচা হলুদ গ্রাম খানিক শুকনো আমলকির গুঁড়োর সাথে মিশিয়ে খালি পেটে খেলে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যথা দূর হয়ে যাবে
১১) কোষ্ঠকাঠিন্যেঃ
যে সব শিশু রাতে না ঘুমিয়ে ছটফট বা কান্নাকাটি করে তারা সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগে। এদেরও অল্প গরম গরুর দুধের সাথে ২০/২৫ ফোঁটা কলমির রস খাওয়ালে এদের কোষ্ঠকাঠিন্য সেরে যাবে। তবে, শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে খাওয়ানো ভালো
১২) শ্বাসকষ্ট রোগেঃ
শ্বাসকষ্ট কমাতে বাসক গাছের পাতা ছাল একসঙ্গে সেদ্ধ করে বেটে মধু মিশিয়ে খেতে হবে রোজ কমপক্ষে একবার। নিয়মিত সেবনে কষ্ট নিরাময় হবে
(সংগৃহীত: ইন্টারনেট থেকে)